হোলি আর্টিজান মামলা : ৭ জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড

ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

খুলনার সময়: রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলায় নব্য জেএমবির সাত সদস্যকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর ১১ অক্টোবর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী আজ রায় দেয়া হলো।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত জঙ্গি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

সাত বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। কুপিয়ে, গুলি করে তারা দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিককে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইতালির নাগরিক নয়জন, জাপানের সাতজন, ভারতের একজন ও বাংলাদেশি তিনজন। সেই রাতে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ।

এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে নব্য জেএমবির সাত সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। তারা এখন কারাগারে আছেন।

বিচারিক আদালতের রায়ে একজন খালাস পান। তার নাম মিজানুর রহমান। বিচারিক আদালত কোনো আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত। নিয়ম হলো, বিচারিক আদালতে কোনো মামলার রায়ের পর মামলাসংক্রান্ত সব কাগজপত্র হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে হয়, যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। হোলি আর্টিজান মামলার ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হয় ২০১৯ সালে। ডেথ রেফারেন্সের শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করা হয়। এদিকে, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের করা আপিল ও জেল আপিল একসঙ্গে শুনানির জন্য গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে। পরে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার ,বিকাল ৫:৩৭
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন