কৌশলগত পারমাণবিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এ সুযোগে ইউক্রেন সীমান্তে অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র জড়ো করছে পুতিনের বাহিনী। খবর আলজাজিরার। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২১ মে) জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে মহড়া করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ইস্কান্দার ও কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র আনা হয়েছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন ইউনিট ও আরও শক্তিশালী সরঞ্জাম আনা হবে। বলা হচ্ছে, এসব অস্ত্র পারমাণবিক যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য কতটা প্রস্তুত তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিচ্ছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের উসকানিমূলক বিবৃতি-হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার এ ধরনের কার্যক্রম সরাসরি একটি বড় সতর্কবার্তা।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। যে এলাকায় মহড়া হচ্ছে তা ইউক্রেনের পাশে। এমনকি ওই এলাকা আগে ইউক্রেনেরই ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরোদমে অভিযান শুরুর পর তা দখলে নেয় রাশিয়া। তবে মহড়ার সঠিক অবস্থান জানায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ মহড়ার জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। গত বছরই কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ব্যাপারে ঘোষণা দেয় তারা। সে সময় বেলারুশ নিজেদের ভূমি দেওয়ার ইচ্ছা জানায়। সম্প্রতি বেলারুশ ফের ঘোষণা করে যে, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রাখতে তারা প্রস্তুত। এর আগেও বিভিন্ন সময় ছোটখাটো মহড়া করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে গত বছরের ২২ অক্টোবর দেশটির বার্ষিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
ওই মহড়ায় দূর প্রাচ্য এবং আর্কটিক অঞ্চলে ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ওই সময়ে ক্রেমলিন জানিয়েছিল, এই মহড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে- শত্রুপক্ষের পরমাণু হামলার বিরুদ্ধে যেন পাল্টা ব্যাপক পরমাণু হামলা চালানো যায়, সে জন্য সামরিক কমান্ডকে অনুশীলনের মাধ্যমে প্রস্তুত রাখা।