গত আসরে খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। ইউরো কাপের ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইংলিশদের। তবে এবার সেই হৃদয়ভাঙা গল্পটা আবারও লিখতে চাইছেন না কেইন-বেলিংহামরা। তবে সে পথে বাধা স্পেন। যারা টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলতে এসেছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় জার্মানির বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াই। রেকর্ড সর্বোচ্চ চতুর্থ শিরোপা জয়ের হাতছানি স্পেনের। বর্তমানে জার্মানির সঙ্গে তিনটি শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন স্প্যানিশরা। অন্যদিকে ৫৮ বছরে শিরোপা খরা কাটানোর সুযোগ ইংলিশদের।
যেভাবে ফাইনালে স্পেন : লুইস দে লা ফুয়েন্তের অধীনে গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচেই জয় পায় স্পেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে শুরু করে ইউরোর মিশন। ইতালি ও আলবেনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে বি-গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয় স্পেন। রাউন্ড অব সিক্সটিনে জর্জিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ের পর কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারায় তারা। এরপর সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালের মঞ্চে স্পেন।
যেভাবে ফাইনালে ইংল্যান্ড : গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে অনেকটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে ইংলিশদের। সার্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে মিশন শুরু বর্তমান রানার্সআপদের। ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-১ এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-সির সেরা ও অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড। রাউন্ড অব সিক্সটিনে স্লোভাকিয়াকে ২-১ গোলে হারানোর পর কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকে জয় পায় ইংলিশরা। এরপর সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড।
ফাইনালের ভেন্যুর ইতিহাস : ইউরো কাপের ফাইনাল হবে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ১৯৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য তৈরি করা হয় এই স্টেডিয়াম। বহুমুখী স্টেডিয়ামে এরই মধ্যে দুটি বিশ্বকাপ (১৯৭৪ এবং ২০০৬) আয়োজন করা হয়েছে। এ স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৭৪,২৪৫।
পরিসংখ্যান : • মোট: ২৭ • স্পেন: ১০ • ইংল্যান্ড: ১৩ • ড্র: ৪
যেভাবে দেখবেন • যুক্তরাজ্য: বিবিসি ওয়ান, বিবিসি স্পোর্ট ওয়েবসাইট, এসটিভি • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ফক্স স্পোর্টস অ্যাপ, ফক্স নেটওয়ার্ক • কানাডা: সিটিভি, সিটিভি অ্যাপ, টিভিএ স্পোর্টস • বাংলাদেশ: টি স্পোর্টস, টি স্পোর্টস অ্যাপ ম্যাচ অফিশিয়াল • রেফারি: ফ্রাঁসোয়া লেটেক্সিয়ার (ফ্রান্স) • সহকারী রেফারি: সিরিল মুগনিয়ার ও মেহদি রাহমৌনি (ফ্রান্স) • চতুর্থ রেফারি: জিমোন মার্সিনিয়াক (পোল্যান্ড) • ভিএআর: জার্ম ব্রিসার্ড (ফ্রান্স) • রিজার্ভ সহকারী রেফারি: টমাসজ লিস্টকিউইজ (পোল্যান্ড) • ভিএআর সহকারী: উইলি ডেলাজড (ফ্রান্স) • ভিএআর সমর্থন: ম্যাসিমিলিয়ানো ইরাতি (ইতালি) দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ
স্পেন: উনাই সাইমন; ড্যানিয়েল কারভাহাল, নাচো ফার্নান্দেজ, আইমেরিক লাপোর্তে, মার্ক কুকুরেলা; দানি ওলমো, রদ্রিগো হার্নান্দেজ, ফাবিয়ান রুইজ পেনা; লামিন ইয়ামাল, আলভারো মোরাতা এবং নিকো উইলিয়ামস। কোচ: লুইস দে লা ফুয়েন্তে।
ইংল্যান্ড: জর্ডান পিকফোর্ড; কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, মার্ক গুইহি, কিরান ট্রিপিয়ার; কোবি মাইনু, ডেক্লান রাইস; বুকায়ো সাকা, জুড বেলিংহাম, ফিল ফোডেন, হ্যারি কেইন। কোচ: গ্যারেথ সাউথগেট।