খুলনার সময়: বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএসপিএ) জানিয়েছে, রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিঘ্নিত হওয়া ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি এমদাদুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য ভবনটিতে এখনও কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না। আমাদের একসেস না দিলে, ইকুইপমেন্ট বের করতে না দিলে তো এটা লাইভ করতে সময় লাগবে। ওই ভবন যদি আমরা সচল করতে না পারি তাহলে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। আমাদের আজ একসেস দিলে আমরা আজই লাইভ করে ফেলব।’
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় মহাখালীর ১৪ তলা খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে টানা কাজ করে। পরে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় ভবনটি অগ্নিমুক্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। এই আগুনে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। আগুন লাগার পর রাতেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অফিস ও বাসায় ইন্টারনেট সেবাদাতা বিঘ্নিত হওয়ার খবর আসতে শুরু করে। কোথাও কোথাও গতি ধীর হয়ে পড়েছে। এলাকায় এলাকায় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের গ্রাহকদের সেবা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে জানায়।
বৃহস্পতিবার রাতে বিআইএসপিএ সভাপতি এমদাদুল হক জানিয়েছিলেন খাজা টাওয়ারে বড় দুটো ডেটা সেন্টার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে ১০-১২টি আইআইজি যুক্ত রয়েছে; যাদের থেকে কয়েকশ আইএসপি সেবা নিয়ে থাকে। যে কারণে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বলা যায় সারা দেশের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আইএসপি সরাসরি অ্যাফেক্টেড। এছাড়া, আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আইএসপি অনেকগুলো সেবা পাবে না, তারাও পরোক্ষভাবে অ্যাফেক্টেড।
বহুতল এ ভবনে গ্রামীণফোনসহ অনেকগুলো কোম্পানির ডেটা সেন্টার ও সার্ভার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে সারা দেশের বেশির ভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) যুক্ত।