বিশ্ব ডেস্ক: প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দা উত্তর গাজা ছেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। আল জাজিরার সোমবারের প্রতিবেদনে জোনাথনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘আইডিএফ অনুমান করছে, এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ উত্তর গাজা ছেড়ে গেছে।’ ওই সময় তিনি হামাসকে দায়ী করে অভিযোগ করেন, যারা দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের জন্য এটি কঠিন করে তুলছে হামাস।
বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোনাথন বলেন, ‘গাজায় সামরিক অভিযান বর্ধিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা শহরে থাকা অনিরাপদ হবে।’ এর আগে শুক্রবার একটি বোমা হামলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দ্বারা নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত গাজার একটি রাস্তায় ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জোনাথন জানান, আইডিএফ সক্রিয়ভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে না, তবে তিনি স্বীকার করেন যে অপারেশনের সময় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়ানো একেবারে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসকে লক্ষ্য করে আঘাত করছি; তাদের অবকাঠামোতে আঘাত করছি।’
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বিমান হামলায় রোববার নাগাদ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার শাসক দল হামাস। এতে এক হাজার তিন শ ইসরায়েলি নিহত ও তিন হাজার ৪০০ জন আহত হয়। ওই হামলার জবাবে গাজায় বোমাবৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির ছোড়া গোলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছাড়ার তাগিদ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত