খুলনার সময়: খুলনা খালিশপুরে বন্ধ থাকা ২টি মিলের জমিতে শিল্প কারখানার স্থাপনের আশা দিয়েছেন বিসিআইসি।উভয় মিলে ৪৭.৬১ একর জমিতে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল কাগজকল ও অন্য একটি কারখানা তৈয়ব জন্য গত ১৩ জুলাই সমিক্ষা খসড়া জমা দেওয়া হয়েছে। খুলনা খালিশপুরে ১৯৫৭ সালে ভৈরব নদের তীরে স্থাপিত হয়েছিলো নিউজপ্রিন্ট মিল লোকসানের কারণে ২০০২ সালের ৩০ শে নভেম্বর মিলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশেই ১৯৬৫ সালে স্থাপিত খুলনা হার্ডবোর্ড মিলটি ও বন্ধ করে দেওয়া হয় ২০১৩ সালের ২৬ শে নভেম্বর। এই দুইটি কারখানার জমিতে অনেক দিন ধরে অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের কথা যানিয়ে আসছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) অর্থ জোগাড়ের জন্য নিউজপ্রিন্ট মিলের ৫০ একর জমি নর্থ- ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। এতে নতুন শিল্প কারখানা হবে ভেবে কর্মসংস্থানমন্ত্রী আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন বন্ধ দুই মিলের শ্রমিকসহ স্থানীয় লোকজন। কিন্তু সে উদ্দেশ্য সুফল হয়নি। বিভিন্ন সময় কাগজ কল সার কারখানা ওষুধ তৈরির কাঁচামাল কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানানো হলেও তার কোন নমুনা পাওয়া যাচ্ছে না। এবার নতুন করে আবার বন্ধ মিল দইটির জমিতে ওষুধের কাঁচামাল বা কাগজকল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বিসি আইসি তবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ স্থানীয় দের। বিসিআইসি সুত্রে জানাগেছে, নিউজপ্রিন্ট মিলের মোট জমির পরিমান ৮৭.৬১ একর এর মধ্যে ৩৭ একরে মুল কারখানাটি অবস্থিত বাকি ৫০ একর জমিতে আবাসিক এলাকায়। ২০১৮ সালে মুল অংশ বাদে ৫০ একর জমি এন ডব্লিউ পিসিএল এর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় ৫৮৬ কোটি টাকায়। তার থেকে ২৫৪ কোটি টাকা পরিষদ করে এনডব্লিউপিসিএল। নিউজপ্রিন্ট মিলের পাশে রয়েছে বিসিআইসি নিয়ন্ত্রিত বন্ধ খুলনা হার্ডবোর্ড মিলের জমির পরিমাণ ৯৯৬ একর এই জমিটি দির্ঘ দিন পরিতক্তা হয়ে পড়ে আছে। ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর বন্ধ মিল পরিদর্শন আসেন শিল্প মন্ত্রি তিনি জমিতে একটি সার কারখানা স্থাপনে কথা জানান গত এক বছরের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত বাতিল বলে গন্য হয়। ২০২১সালে জানুয়ারীতে কার্বনএসিড ও কাগজ কল করার পরিকল্পনা নিয়েও সেটা বাতিল করে ২০২২সালে ২ টি মিলের ৪৭.৬১ একর জমিতে কি ধরণের কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে তা নিয়ে নতুন একটি সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৩ জুলাই সেই সমিক্ষার খসড়া জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, কগজকল অথবা অন্য একটি কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে বলে মতামত দেওয়া হয়েছে। বর্তমান নিউজপ্রিন্ট ও হার্ড বোর্ড মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, খসড়া প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই এর জন্য গঠিত কমিটি প্রস্তাব দেখে বিবেচনার জন্য বিসিআইসির সভায় উত্থাপন করবে।