খুলনা ৬ আসনে বিরামহীন গণসংযোগে মোহসিন রেজা

খুলনা ৬ আসনে গণসংযোগ

মিনহাজ দিপু, খুলনা: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা ৬ আসনে বিরামহীন গণসংযোগে করে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির প্রশ্নে সর্বদা আপোষহীন বজ্রকণ্ঠ, মুজিব আদর্শে আদর্শিক সমৃদ্ধ পাঠশালা, তৃণমূলের আস্থার নেতা জিএম মহসিন রেজা। আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) দিনব্যাপী পাইকগাছা পৌরসভার সকল বাজার এবং উপজেলার রাড়ুলী বাজার, বাঁকা বাজারসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসংযোগ করেছেন কয়রা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা। গণসংযোগের দ্বিতীয় দিনেই খুলনা ৬ আসনে দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তন চেয়ে মোহসিন রেজার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

এসময় মোহসিন রেজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের গুণাবলী তুলে ধরে বলেন, একসময় বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত ছিলো। বর্তমানে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারেও প্রশংসিত। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশের অনেক প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাজ্যসহ বিশেষ ক্ষমতাধর দেশের প্রধানমন্ত্রীরা পাত্তাও দিতেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সমানতালে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্ব বিশ্ব নেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন- আপনি আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। আমরা আশাবাদী আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গড়ে ওঠবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে নিজেকে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ঘোষণা দিয়ে জিএম মোহসিন রেজা বলেন, আমি আমার মাতৃতুল্য নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং খুলনার ঠিকানা আমাদের অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দিনের কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইব। আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এই আসনে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে ইনশআল্লাহ। আর যদি কোন কারণে আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলেও আমি দলের পক্ষে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।  তিনি বলেন, আ.লীগ একটি বৃহৎ-প্রাচীন রাজনৈতিক দল। এখানে এমপি হওয়ার মতো অনেক যোগ্য লোক রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারবে এমন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে দল এবং দেশের মানুষের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীরা মূল্যায়িত হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলুসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার ,সন্ধ্যা ৭:২৩
  • ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন