বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি ও দেশের জনগণের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়ে গেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন মুক্ত বাতাসে আমরা সমাবেশ করার, কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে। বর্তমান এ সরকারের মধ্যেও অনেক ফ্যাসিবাদের লোক বসে আছে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন গণতন্ত্র নসাৎ করতে না পারে।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে দুপুরের আগেই রাজধানীর নয়াপল্টনে জনতার ঢল নামে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। নয়াপল্টন প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করেন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।