খুলনার সময়: শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি হিসাবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। এরপর সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।দুদকের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে, ড. ইউনূস গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো অপরাধ করিনি। তাই শঙ্কিত হবার কারণ নেই।
ড. ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, এটর্নি জেনারেল ড ইউনূসের নাম প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন দিয়েছিলেন সেটি একটি বড় প্রশ্ন। জিজ্ঞাসাবাদের আগে ড. ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদকে এসেছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ড. ইউনূসকে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।
এদিকে শ্রমিক ঠকানোর মামলায় বিচার চলছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। মামলাটি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে। এর মধ্যেই অর্থপাচার ও আত্মসাৎ মামলায় প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূসকে। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক ও কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে ড. ইউনূসকে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত