তিতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী?

তিতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী?

স্বাস্থ্য সময়: আমাদের মাঝে কেউ মিষ্টি, কেউ ঝাল কেউবা আবার টক খাবার খেতে পছন্দ করে। কিন্তু তিতা খাবার পছন্দ করে এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। তবে আপনি জানেন কি, তিতা খাবারগুলোই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তো চলুন জেনে নিই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তিতা খাবারগুলো সম্পর্কে-

করলা: সবজির মধ্যে করলা সবচেয়ে তিতা স্বাদের। এতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, যা ক্যানসারের বৃদ্ধি কমায়। করলা ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও মহৌষধ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। করলা ভাজি খুবই জনপ্রিয় খাবার। তবে এর সঙ্গে আপনি অন্য সবজি মিশিয়েও ভাজি করতে পারেন। এতে তিতাভাব একটু কম লাগে। এ ছাড়া যেকোনো মাছের তরকারিতে করলা দিয়ে রান্না করতে পারেন। শুধু রান্নার পূর্বে করলা লবণ দিয়ে ধুয়ে নিলে এর তিতা ভাব কমে যাবে। অনেকে আবর সরাসরি করলার জুস বানিয়ে খায়। যা খুবই স্বাস্থ্যকর। করলা ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও মহৌষধ।

লেবুর খোসা: লেবু খেয়ে খোসা ফেলে দেয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লেবুর খোসা তিতা হলেও স্বাদযুক্ত। এর খোসায় আছে ফ্ল্যাভোনয়েড যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত। তাই এরপর থেকে শুধু লেবু চিপে লেবুর রস নয় সঙ্গে খোসাও চিবিয়ে খাবার চেষ্টা করুন। লেবুর খোসা কুচি করে চা, সালাদ বা তরকারিতেও ব্যবহার করতে পারেন।

পাটশাক: তেতো হলেও গ্রামাঞ্চলে বেশি জনপ্রিয় পাটশাক। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে। অনেক জায়গায় ডাল দিয়ে পাটশাক রান্না করার প্রচলন আছে।

সরিষার শাক: সরিষার শাক বিটা ক্যরোটিন, ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ। এতে গ্লুকোসিনোলেটস নামের এক ধরনের উদ্ভিত যৌগ আছে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। সরিষা পাতার রস ফুসফুস এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আলু দিয়ে সরিষার শাক রান্না কিংবা ভাজি করে খেতে ভালো লাগে। সরিষার শাকে গ্লুকোসিনোলেটস নামের এক ধরনের উদ্ভিত যৌগ আছে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।

মেথি শাক: মেথি শাক তিতা হলেও এটি উপকারী। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ, রক্তস্বল্পতা কমায়, লিভারের কাজ সক্রিয় করে, হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে মেথি শাক। মেথি শাক বেশি করে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন। এ ছাড়া এটি ভর্তা করেও খাওয়া যায়। মেথি শাক ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ কাজ করে।

নিম পাতা: নিম পাতা রক্ত, পেট এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্লোরোফিল আছে, যার জন্য এটি ঔষধি গুণসম্পন্ন। নিম পাতা রস করে সরাসরি খেতে পারেন। নিম পাতা রক্ত, পেট এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে।

কোকো পাউডার: কোকো বীজ থেকে বানানো হয় কোকো পাউডার। এটি কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনসহ বেশ কয়েকটি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। যেকোন মিষ্টান্নতে কোকো পাউডার যোগ করে কিংবা চকলেট হিসাবে কোকো খাওয়া যায়। কোকো পাউডার যেকোনো মিষ্টিতে দিয়ে খাওয়া যায়।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,রাত ১১:০২
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৬ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন