বাংলাদেশিদের জন্য ফের ভিসা চালু করতে যাচ্ছে ওমান। এবার ১২টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হতে পারে। বুধবার (২৯ মে) বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমানের চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের বরাতে টাইমস অব ওমান এ খবর জানায়। গত বছর বাংলাদেশিদের জন্য হঠাৎ করেই ভিসা দেওয়া স্থগিত করে ওমান সরকার। গত ৩১ অক্টোবর রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে ওমান। আর এটি তখন থেকেই কার্যকর হয়েছে। বুধবারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ১২টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে ওমান। এর মধ্যে আছে, ফ্যামিলি ভিসা, জিসিসি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিজিট ভিসা, চিকিৎসক ভিসা, প্রকৌশলী ভিসা, নার্স ভিসা, শিক্ষক ভিসা, হিসাবরক্ষক ভিসা, বিনিয়োগকারী ভিসা এবং সব ধরনের অফিসিয়াল ভিসা। তবে এ ব্যাপারে ওমান সরকারের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবং কালবেলাও স্বাধীনভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।
জানা গেছে, গত বছর ওমানের ভিসা বন্ধের পর দেশটিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের আগমন ৫০ শতাংশের বেশি কমেছে। এতে ওমানও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছর সাধারণ ক্যাটাগরির ভিসা বন্ধের পাশাপাশি রয়্যাল ওমান পুলিশ আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পর্যটক ও ভ্রমণ ভিসায় যে বিদেশিরা ইতোমধ্যে ওমানে এসেছেন, তাদের জন্য ‘ভিসা পরিবর্তন’ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে পর্যটন ও ভ্রমণ ভিসায় ওমানে গিয়ে প্রবাসীরা কর্মী হিসেবে ভিসা নিতে পারতেন। ‘ভিসা পরিবর্তন’ কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় যারা কর্মী হিসেবে ভিসা নিতে চান, তাদের নিজ দেশে ফিরে কাজের ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে হবে। তবে এ সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য থাকছে না। কারণ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত রয়েছে।
এ বিষয়ে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ‘ওমানে লোকজন নেওয়ার ব্যাপারে যে সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল, মানব পাচারকারীরা তার অপব্যবহার করছেন। এর ফলে হয়তো ওমান ভিসা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে কাজ করছেন, এটি বিবেচনায় নিয়ে ওমানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত