খুলনার সময়: সরকারের চলমান মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বিশেষ বিবেচনায় আরও ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৫টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ২৩টি ও ডিগ্রি পাস কলেজ রয়েছে সাতটি। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখার যুগ্ম সচিব জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এদিকে সরকারের শেষ সময়ে এসে এই এমপিওভুক্তিকে নির্বাচনী ‘ট্রাম্প কার্ড’ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সাধারণত তিন-চার বছর পরপর এমপিওভুক্ত করার আবেদন নেওয়া হয়। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এখন কোনো আবেদন গ্রহণ ছাড়াই রাজনৈতিক বিবেচনায় এই ৯১ প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হলো।
তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় এমপিভুক্তি হয়নি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ’সরকার প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে পারে। এতে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, এমপিও হলো মান্থলি পে-অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন। আর বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না।