যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারি বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। এদিন সকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তারে আগে সোমবার রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তাসহ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই’।
আর ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি আত্মগোপনে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। একটি গাড়ি ছাড়া আমার নামে আর কোন সম্পদ নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার সুযোগ ছিল অনেক সম্পদ করার। কিন্তু আমার পুরো টাকাটা আমি আমার এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছি। একটা গাড়ি ছাড়া আমার নামে আর কোন সম্পদ নেই। যে কেউ সে বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের সময় আমি এমন এমন মানুষের নামে মামলা করেছিলাম যাদের নামে এখনও মামলা চলমান আছে। ক্ষমতাধর সেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সবার প্রথমে আমিই কাজ করেছিলাম। এগুলো আমি সবই করেছি দেশের জন্যে।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি।