মুহুর্মুহু করতালি আর আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের কমিটি হলে মুক্তি পেল বাংলা গানের যুবরাজ ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর ও উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী পদ্মশ্রী অনুরাধা পড়োয়ালের ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গিনী’ গানটি। যেখানে সাধারণত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়। সেখানে গানের অনুষ্ঠান প্রথমবারের মতো আয়োজন এ এক বিরাট সম্মান আাসিফ আকবরের জন্য। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউসের কমিটি হলে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি গায়কের গান উন্মুক্ত হলো। বলিউডে অভিষেক ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কমিটি হলে দুই দেশের গানের অনুষ্ঠান, সব মিলিয়ে উচ্ছ্বসিত আসিফ আকবর বলেন, যে বয়সে মানুষ গান থেকে সরে যায়, সে বয়সে আমি বলিউডে গান শুরু করেছি। আমার ডেডিগেশন ল্যাবেলটা আলাদা। আমি যখন কাজ করি কাজটা সিরিয়াসলি করি। মিউজিক্যাল জার্নিতে প্রত্যেকটা সফলতা আমার জন্য জরুরি। অতীতে যা হয়েছে ভবিষ্যতে যা হবে সেগুলো আমাকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের ১২ নম্বর কমিটি হলে দুই শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে গানটি অবমুক্ত করা হয়। মঞ্চে অতিথির আসনে বসে তা অবলোকন করেন আসিফ আকবর ও অনুরাধা পড়োয়াল, লর্ড তারিক আহমেদসহ ব্রিটিশ এশিয়ান কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি সীমা মনোত্রা সংগীত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ ও সংগীত শিল্পী রুবাইয়াত জাহানের পক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী পদ্মশ্রী অনুরাধা পড়োয়াল বলেন, দুই দেশের সংস্কৃতির সমন্বয় একটি চমৎকার ব্যাপার। আমি এ দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আমি বাংলায় গান করতে পেরে খুব খুশি। আমার বিশ্বাস এটি খুব জনপ্রিয় হবে। অনুষ্ঠানটির আয়োজক রাজা কাশেফ বলেন, দুই দেশের সহযোগিতায় গানটি নির্মাণ করতে পেয়ে আনন্দ লাগছে। এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যাপার। আসিফ ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে আমরা সব করেছি।
কবির বকুলের লেখা গানটিতে সুর ও সংগীত করেছেন রাজা কাশেফ। মেলোডিয়াস ডুয়েট এই গানটির পরিচালক সৌমিত্র ঘোষ ইমন, আসিফের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তি এ আর রাহমান স্টুডিও, যশরাজ ফিল্ম স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং ও হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠান সব কিছু ব্যবস্থাপনা করেছেন রাজা কাশেফ ও রুবাইয়াত জাহান। পেট্যামের স্পন্সরে করা গানটির কাস্টিং আসিফ আকবর ও সাবাহ বশির।