দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিন যাচাই করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সূত্র জানায়, যাচাই শেষে প্রতিবেদন পাঠাতে আগামী পাঁচদিন সময় বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি। নির্দেশনাটি পাঠিয়েছে ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিরিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম। এতে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং দাবী আপত্তি নিষ্পত্তিপূর্বক ১৭ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসাররা ১৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্তকৃত সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসারে সরেজমিনে যাচাই বাছাই করবেন।
সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ নীতিমালা অনুসরণে কোনো পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা সম্পন্ন করে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করবেন। সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ০২ (দুই) প্রস্থ হার্ডকপি বাহক মারফত পাঠাতে হবে।
এক্ষেত্রে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এতে ভোটকেন্দ্র চুড়ান্ত করতে নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর ঠিক আছে কিনা, উপজেলা/থানার নাম সঠিক আছে কিনা, ভোটকেন্দ্রের নম্বর, সিরিয়াল নং ঠিক আছে কিনা, ভোটারের সংখ্যা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ আছে কিনা? যোগফল ঠিক আছে কিনা, পুরুষ কক্ষের জন্য ৫০০ ও মহিলা কক্ষের জন্য ৪০০ জন হিসাবে ভোট কক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছে কিনা, অস্থায়ী কেন্দ্র ও অস্থায়ী কক্ষের বিষয়ে ব্যাখ্যা আছে কিনা এবং অস্থায়ী কক্ষের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঘরে অস্থায়ী লিখিত আছে কিনা, ভোটারের সংখ্যার সাথে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা নীতিমালা অনুযায়ী আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত যে সকল ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে সকল ভোটকেন্দ্র নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে তার আসনভিত্তিক সারসংক্ষেপ প্রেরণ করতেও বলা হয়েছে ডিসিদের। এছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের প্রস্তাব করা হয়েছে মর্মে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রত্যয়নও দিতে বলেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রর সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিসিরা সরেজমিন যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চুড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত