আনারুল ইসলাম (রনি): সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাগবাটি গ্রামে দুর্গা মন্দির ও কালি মন্দিরের জমি ও সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘর বরাদ্ধ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ মাখাল ও সাধারণ সম্পাদক তপনের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাগবাটি গ্রামে দুর্গা মন্দির ও কালি মন্দিরের জমিতে সিমেন্টের পিলার দিয়ে তিনটা দোকান ঘর করা হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ মাখাল ও সাধারণ সম্পাদক তপন অর্থের বিনিময়ে এ দোকানগুলো বরাদ্দ দিয়েছেন এবং প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এসব টাকা মন্দিরের ফান্ডে জমা না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গা মন্দির ও কালি মন্দিরের জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করার প্রতিবাদ করায় গত ২৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মন্দির সংলগ্ন এলাকাবাসী বার্লকের বাড়িতে সুভাষ মাখাল ও তপনসহ কয়েকজন ইট পাটকেল মারে। বিষয়টি মিমাংশার লক্ষ্যে স্থানীয়রা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহম্মেদকে অবহিত করলে ২৭ জানুয়ারি বিকালে মিমাংশার জন্য মন্দির মাঠে বসাবসি হয়। এসময় মন্দির কমিটি ও স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দ মাস্টার, সুভাষ, ভিম, ছোট তপন, নেপাল, কানাইলাল, লব কুমার, সৌধন্য, গৃহবালা, মিজান, ফজলু, আব্দুল মাজেদ প্রমুখ।
স্থানীয় সৌধান্য মাখাল বলেন, দুর্গা মন্দিরের সম্পত্তিতে ক্লাব তৈরি করায় স্থানীয় ও বহিরাগতরা এসে প্রতিনিয়ত গভীর রাত পর্যন্ত তাসের জুয়া খেলে এবং নেশাদ্রব্য সেবন করে থাকে। এতে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
গৃহবালা বলেন, মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কালী মন্দিরে কোন প্রকার সহযোগিতা করেন না। এমনকি আমাদের পূজায় কখনো ১০০ গ্রাম বাতাসাও কিনে দেয়নি। আমার বৌমা কালী মন্দিরের পুজারী। পূজার সকল ভোগ সামগ্রী আমাদের নিজেদের অর্থায়নে ক্রয় করি।
স্থানীয় কানাইলাল বলেন, আমার বাড়ি মন্দিরের পিছনে। তারপরেও মন্দির কমিটির অনিয়মের কারণে আমি মন্দিরের দিকে ফিরেও তাকাই না। বিষয়টি নিয়ে একটি সুষ্ঠ সমাধান প্রয়োজন।
মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ মাখাল বলেন, আমার এখন ঘেরে কাজ আছে, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আপনারা স্থানীয়দের কাছে শুনে দেখেন।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত