কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চার সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন পুলিশ। এ সময় তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, দেশীয় তৈরি ৭টি বন্দুক, চার্জারসহ দুটি ওয়াকিটকি, ৯টি গুলি, হ্যান্ড গ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল, দুটি দা ও কয়েকটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ভোর রাত থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এস-১/বি-৭ ব্লকের কাঁটাতারের সীমানার বাইরে একটি বাগানে তাদের আস্তানায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৮১ ব্লকের আমির হোসেন, একই ক্যাম্পের এইচ-১০০ ব্লকের জিয়াউর রহমান, উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৪ ব্লকের সৈয়দুল আমিন এবং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১ ব্লকের মো. হারুন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহঅধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার ভোরে উখিয়া উপজেলার ২০ এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারী লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে এমন খবরে এপিবিএন পুলিশের একাধিক দল সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতকারীরা এপিবিএন সদস্যদের গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার চারজন মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আরসার অত্যাচার ইদানীং খুব বেড়েছে। অস্ত্র বেচাকেনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সাধারণ রোহিঙ্গারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সবসময়ই তারা আতঙ্কে থাকেন।