শাবনূর বলেন, “বাইরে থাকলেও মনটা দেশেই পড়ে ছিল। গতকাল নিজের জন্মদিনে আনন্দময় সময় কেটেছে। ভালো গল্প ও চরিত্র পাইনি বলে কোনো সিনেমায় অভিনয়ে মন সায় দেয়নি। ‘মাতাল হাওয়া’র গল্প অসাধারণ। চরিত্রটিও পছন্দ হয়েছে। বেশ বিরতির পর সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছি ভেবে ভালো লাগছে। নিজেকে এখন প্রস্তুত করছি। একেবারে ফিট হয়েই পর্দায় আসতে চাই।’’বিশ্বের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির মতো ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিও নায়ক নির্ভর। কিন্তু আশি ও নব্বই দশকের চিত্রটা ছিল অনেকটাই ভিন্ন। একসময় যেমন পোস্টারে শাবানার ছবি থাকলেই আর কিছু লাগতো না, তেমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল নব্বইয়ের দশকেও। আর সেই সমীকরণের শীর্ষে যে নামটি রয়েছে তিনি হলেন চিত্রনায়িকা শাবনূর।
ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় তিনিই ছিলেন প্রযোজকদের ‘টার্ম কার্ড’। তবে আরেক বাস্তবতা হলো ঠিক সব নায়িকাদের মতো তিনিও ক্যারিয়ারের পরিণত সময়ে আড়ালে চলে গেছেন। ঘর বেঁধেছেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর তাকে বিভিন্ন মৌসুমে পাওয়া গেলেও ঠিক সুতোয় গাঁথতে পারেননি নিজের ক্যারিয়ারকে। তবুও শাবনূর এখনও এদেশের দর্শকের কাছে চিরসবুজ সেই নায়িকা। খবর ইউএনবির শাবনূরের ভক্তদের জন্য সুখবর হলো আবারও বড়পর্দায় ফিরছেন এই ‘স্বপ্নের রাজকুমারি’। এমনটাই জানা গেল পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক পোস্ট থেকে। ‘মাতাল হাওয়া’ শিরোনামে এই সিনেমার গল্প মাহফুজ আহমেদের। আর চিত্রনাট্য লিখেছেন রায়হান খান। চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুক পেজে শাবনূরের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘তার সব সিনেমাই প্রায় আমার দেখা। তিনি ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে অবশ্যই অনেক বড় একটা জায়গায় বসে আছেন এখনও। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি একজন ব্র্যান্ড তারকা। একজন সুপারস্টার নিঃসন্দেহে।’তিনি আরও লেখেন, ‘তিনি যে এত বড় তারকা পাশাপাশি এত বিনয়ী এটা ফিল করেছি যেইদিন অস্ট্রেলিয়াতে তিনি প্রহেলিকা দেখে আমাকে কলই শুধু করেননি, একটা দারুণ লেখাও লিখেছিলেন তার নিজের প্রোফাইলে। মাহফুজ আহমেদ বলেছিলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি তার ব্যবহারের কথা।
‘যতবার তার সঙ্গে দেখা হয়েছে, তার ব্যবহার আচার-আচরণে মুগ্ধ হয়েছি। তার ব্যবহার দেখে মনে হয়েছে আমি তার কত আপন! কত আগের চেনা। প্রতিটি মুহুর্তে ভালোবাসা, সম্মান পেয়েছি, পাচ্ছি। মানুষ যত বড় হয়, ততই বিনয়ী হয়। আসলেই ওল্ড ইজ গোল্ড।’দীর্ঘ বিরতির পর নতুন সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন শাবনূর। তার বিপরীতে অভিনয় করবেন মাহফুজ আহমেদ। ‘মাতাল হাওয়া’ নামে এ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন চয়নিকা চৌধুরী। রোববার ছিল তার জন্মদিন। এদিন শাবনূরকে নিয়ে নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা প্রকাশ করেন নির্মাতা। এরইমধ্যে শাবনূরের সঙ্গে চিত্রনাট্য নিয়ে বসেছেন তিনি। রিডিং সেশনে অংশ নেন দুজনে।
শাবনূর বলেন, “দেশের বাইরে থাকলেও মনটা দেশেই পড়ে ছিল। হঠাৎ এবার দেশে এসেছি। গতকাল নিজের জন্মদিনে আনন্দময় সময় কেটেছে। ভালো গল্প ও চরিত্র পাইনি বলে কোনো সিনেমায় অভিনয়ে মন সায় দেয়নি। ‘মাতাল হাওয়া’র গল্প অসাধারণ। চরিত্রটিও পছন্দ হয়েছে। বেশ বিরতির পর সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছি ভেবে ভালো লাগছে। নিজেকে এখন প্রস্তুত করছি। একেবারে ফিট হয়েই পর্দায় আসতে চাই। সিনেমার কাজ করার মাধ্যমে নতুন-পুরোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হবে। বিষয়টিই আনন্দের।’’গত ৩০ নভেম্বর ঢাকায় এসেছেন শাবনূর। তবে খবরটি এতোদিন কাউকে জানাতে চাননি। তিন বছর পর দেশে ফিরে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে তার।