শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মেয়াদ নির্ধারণ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এই সনদের মেয়াদ হবে তিন বছর। আর বয়স হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনটিআরসিএ জানায়, নতুন আইন ও নিয়ম অনুযায়ী সনদের মেয়াদ বা বয়স না থাকলে সুপারিশ করার সুযোগ নেই। শর্ত দুটি পূরণ না হলে এ বিষয়ে আবেদনও করা যাবে না। তাই যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। তবে, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সনদের মেয়াদ ও বয়স শেষ হলেও চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। সেই সঙ্গে সনদের মেয়াদ ও বয়স থাকলে এনটিআরসিএ যাদের সুপারিশ করে তাদের নিয়োগ দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাধ্য বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
২০০৫ সাল থেকে বেসরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন নিয়ম চালু করে সরকার। এখন পর্যন্ত এই নিয়মে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষক বেসরকারিভাবে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে পঞ্চমবারের মতো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেইসঙ্গে সর্বশেষ জুনে ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালে এনটিআরসিএকে সুপারিশের সক্ষমতা দেওয়া হলে বিভিন্ন বিষয়ে মামলা করেন প্রার্থীরা। সেসব মামলায় বিভিন্ন সময়ে রায়ের বিপরীতে আপিল করে সংস্থাটি। এতে কোর্টের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। যেখানে সনদের মেয়াদ তিন বছর ও বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। সেইসঙ্গে ২০১৫ সালে এনটিআরসিএর বিধিতেও সনদের মেয়াদ তিন বছর করা হয়েছে।
এদিকে নিবন্ধিত হয়ে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন অনেকে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সনদের মেয়াদ বা বয়স না থাকায় তারা নিয়োগ পাননি। এতে এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে ওঠে নানা অভিযোগ। যা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত