পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের পঞ্চম বৈঠকেও মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মালিকপক্ষ মজুরি বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। কত বাড়ানো হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে নির্ধারণ হবে ন্যূনতম মজুরি।
বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের অফিসে সভা শুরু হয়। সভায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে মালিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। আলোচনা শেষে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বেতনের ক্ষেত্রে সাতটি গ্রেড থেকে পাঁচটিতে নিয়ে আসা। এখানে মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন। তবে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় নির্ধারণ হবে ন্যূনতম মজুরি। ওই দিনের সভায় বিজিএমইএ থেকে লিখিত আকারে প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সভায় মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়, যারা রাস্তায় আন্দোলন করছেন তারা বেশিরভাগই শ্রমিক না। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আন্দোলনের কোনো মানে হয় না। শ্রমিকপক্ষ থেকে বলা হয়, ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার কথা আমরা বলেছি। এর মধ্যে কেউ এসে বলছে ২৩ হাজার, কেউ আবার বলছে ২৫ হাজার। এটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য করা হচ্ছে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেয়া হবে। এরপর যারা রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে আন্দোলন করছেন তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। শ্রমিকপক্ষ থেকে কাজে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে ট্রেড ইউনিয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা রাস্তায় আছেন তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করা হয়।
এর আগে গত রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা করার জন্য প্রস্তাব দেন শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা। আর মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়েছিল পোশাক শ্রমিকদের বেতন, যা কার্যকর হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।