নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাইম নামক এক যুবককে নির্মম ভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পানসি হোটেলে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত পরিবেশ দূষণসহ প্রতিবেশীর ক্ষতি করে আসছেন পানসি হোটেল। পানসি হোটেল থেকে নির্গত ধোঁয়া ও আগুনের প্রচন্ড তাপে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী ভুক্তভোগী সদর উপজেলার দক্ষিন পলাশপোল এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানেসহ অন্যান্যরা।
ভুক্তভোগী নাইম জানান, ৫বছর আগে থেকেই তার বাড়ির সামনে নিয়মনীতি না মেনে আবাসিক এলাকায় হোটেল নির্মান করে নিয়মিত হোটেল পরিচালনা করে আসছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জেএম ফাত্তাহ। আগে থেকে হোটেলে নির্গত ধোয়ার কারনে আমাদের বাড়ির জানলা নষ্টসহ আসাবার পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। জেলা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী নেতা হওয়ায় একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানিয়ে কোন ফল প্রসু হয়নি। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার অপকর্ম চালিয়ে যেতেন নিয়মিত। বাড়ির সমস্যা নিয়ে তার কাছে একাধিক বার গেলে তিনি কথায় কোন কর্নপাত করেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
বিষয়টি নিয়ে পুনরায় ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হোটেল থেকে ধোয়া নির্গত হতে থাকলে নাইমের বড় বোন প্রতিবাদ করতে যায়। এরপর হোটেলের কর্মচারীরা তাকে অশোভনীয় ইঙ্গিতসহ অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।ওই সময় আমি (নাইম) প্রতিবাদ করতে গেলে মুহুর্তের মধ্যে লোহার রড দিয়ে মালিকের হুকুমে,হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা মিলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে।এরপর আমি মুমূর্ষ অবস্তায় সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালে চিকিৎসা নেই। ঘটনার পরে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
হোটেল মালিক জে এম ফাত্তাহ পুরো ঘটনা অস্বীকার করে জানান, নাইমের সাথে পূর্বে ঘটনা নিয়ে একবার মিটমাট করা হয়েছে। কাল সকালে আমার হোটলে এসে চিল্লাচিল্লি শুরু করলে আমার হোটেলের কর্মচারীরা তার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে। এরপর সেখানে ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে তাকে কোন প্রকার মারপিট করা হয়নি বলে তিনি দাবী করেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত