ইব্রাহিম খলীল: ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সাতক্ষীরার আম প্রতি বছর আগে ভাগেই বাজারে আসে। সাতক্ষীরার আম খুবই স্বাদ ও রসালো মিষ্টি হওয়ায়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে। গত বছরের চেয়েও এ বছরে তুলনামূলকভাবে অনেক কম আম উৎপাদন হয়েছে। সাতক্ষীরায় এ বছরে গাছে প্রচুর মুকুল আসলেও প্রচন্ড তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে গাছে ভালো ফলন না হওয়ায়, দুশ্চিন্তায় ও হতাশ বাগান চাষিরা। তবুও ভালো দাম পাওয়ার আশায়। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আম আমদানি করা হচ্ছে সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারে।
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা আমের জন্য সাতক্ষীরায় আসতে শুরু করেছেন। শ্রেণিভেদে ও মান হিসেবে প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায়। সাতক্ষীরার বাজারে উঠেছে গোলাপখাস, সরিখাস, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ দেশি জাতের আম। ফলন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার দাম দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সাতক্ষীরার আম প্রতি বছর আগেভাগেই বাজারে আসে আবারো রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড় শিলা বৃষ্টির আশঙ্কা।দুই-একদিনের মধ্যেই কালবৈশাখী ঝড় আঘাত আনার সম্ভাবনা আছে । সে কারণেই অনেক বাগান চাষীরা আগেভাগে আম পেড়ে ফেলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা আমের জন্য সাতক্ষীরায় আসতে শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে গোবিন্দভোগ এবং ২১ মে হিমসাগর আম বাজারে আসবে।
এদিকে অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী, ৯ মে থেকে শুরু হয়েছে আম সংগ্রহ মুম্বাই ও গোলাপ খাস, ১১ মে থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া এবং ১০ জুন থেকে আম রুপালী আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে। সাতক্ষীরা বড় বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রওশন আলী বলেন, 'প্রশাসনের নির্দেশনায় আম ভাঙা শুরু হয়েছে। আমে কেউ যেন কোনো ধরনের কেমিক্যাল মেশাতে না পারে সেটি তদারকি করা হবে।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত