সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী পূজামন্ডপ সমূহে নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিযনের অধিনায়ক লে: কর্নেল আরিফুল হক পিবিজিএম, পিএসসি, জি। শনিবার (৫ অক্টোরব) বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী সদর ও কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে উপস্থিত থেকে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক, সহকারী পরিচালক , জুনিয়র কর্মকর্তা, পদবিধারী সদস্য, স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবি, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় উপশনালয়ের ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় বিজিবি অধিনায়ক বলেন, আগামী ৮ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহত্তম শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপিত হবে। তার ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার সাতক্ষীরা সদর এবং কলারোয়া উপজেলায় প্রায় অর্ধশত পূজামন্ডপ রয়েছে। গত ২ অক্টোবর হতে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন কর্তৃক এসব পূজা মন্ডপসমূহ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় আইন- শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনমনে আস্থা/মনোবল বৃদ্ধিকারী টহল পরিচালনা কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চলমান পরিস্থিতির আলোকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনমনে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। এসময় বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত ও সীমান্তের আশেপাশের জনপদে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে সীমান্তে পথে অবৈধ অনুপ্রবেশবোধে বিজিবি সার্বক্ষনিক টহল পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের দায়ে দূনীর্তি/অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবিসহ ২৮ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার ব্যাটেলিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অধিনায়ক আরো বলেন, সীমান্তে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকান্ড প্রতিরোধে বিজিবির সহায়তার জন্য নিকটস্থ বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে জরুরি হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে। বিজিবির এহেন কার্যক্রমের ফলে ইতোমধ্যে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা এবং জনমনে ব্যাপক আস্থার সঞ্চার এবং পূজা উদযাপনে উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো বলেন, পূজা উদযাপন উপলক্ষে যে কোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইননিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে বিশৃংখলাস কারী কে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা। তার কোন পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। এ সময় সীমান্তবর্তী ও পূজা মন্ডপ এলাকায় জনমনে আস্থা বৃদ্ধিকারী টহল পরিচালনায় আইন-শৃঙ্খলা পূর্ণ প্রতিষ্ঠা ও স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিজিবি কর্তৃক উক্ত উদ্যোগ গ্রহণের ফলে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।