প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, প্রশিক্ষণ কাউকে লেখক হিসেবে তৈরি করে না। তবে বাঙালি জাতিসত্ত্বা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ তরুণদের জন্য অবশ্যই আনন্দের বিষয়। তিনি বলেন, সাহিত্যের যাত্রাপথ দুস্তর এবং গভীর। চটজলদি প্রকাশ এবং স্বীকৃতির মোহ থেকে দূরে থেকে আজকের তরুণদের নিবিড় অনুধ্যানের মধ্য দিয়ে তার সৃষ্টিকে পাঠকের কাছে পাঠযোগ্য করে তুলতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে নবপর্যায়ের ‘তরুণ লেখক কর্মসূচি’র সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ১৫ প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও তরুণ লেখক কর্মসূচির সমন্বয়ক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির পরিচালক ড. মো. হাসান কবীর এবং পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, তরুণ লেখকরা বাংলা একাডেমিতে এসে প্রকৃতপক্ষে প্রশিক্ষণ নয়, স্বশিক্ষণের দীক্ষা নিয়েছেন। সমকালীন সাহিত্যের সঙ্গে তারা ধ্রুপদী সাহিত্যের পাঠ নিয়েছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী তরুণরা বাংলাদেশের সামগ্রিক তারুণ্যকে ধারণ করে সৃষ্টিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তরুণ লেখক কর্মসূচির এবারের আয়োজন ছিল উদ্ভাবনাময় ও সৃষ্টিশীল তারুণ্যের মিলনমেলা। বাংলা একাডেমি তরুণদের স্বপ্ন ও সৃজনকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায় সবসময়। ড. মো. হাসান কবীর বলেন, বাংলা একাডেমি আয়োজিত তরুণ লেখক কর্মসূচি যুগের চাহিদাকে ধারণ করে বাংলাদেশের সৃষ্টিশীল তারুণ্যকে সাহিত্যের নতুন গতিপথ দেখাতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করি। ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, তরুণ লেখক কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান আসলে নতুন সৃষ্টির পথে তরুণের যাত্রাপথের সূচনাবিন্দু।