চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসুভান্ডারদহ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রচারণায় বাধা ও হামলা মামলার প্রধান আসামি আলী হাসানুজ্জামান মানিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (১ম) বিচারক লস্কর সোহেল রানা এ আদেশ দেন। আলী হাসানুজ্জামান মানিক সদরের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে গত শনিবার রাত সোয়া ৩টায় সদর থানায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমারকে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ৫ আসামি। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ এলাকায় পৌঁছালে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রচারণার গাড়িবহর গতিরোধ করা হয়। এ সময় প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। অস্ত্র প্রদর্শন করে দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। খবর পেয়ে সেখানে যান জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এবং পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর থানায় গিয়ে ২০ জনকে এজাহার নামীয় ও ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ঈগল প্রতীকের সমর্থক অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক। এ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলে গতকাল রোববার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে প্রধান আসামি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হাসানুজ্জামান মানিকের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। বিকেলে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। এ ছাড়া বাকি ৪ জনকে জামিন দেন আদালত। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সুমন হোসেন, হাফিজুর রহমান ও জেহের আলী। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।