খুলনা প্রতিনিধি ॥ খুলনায় এই প্রথম ১০০ শয্যা পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এগিছে মাত্র ২১ শতাংশ। কার্যাদেশ ২বছরের গত জুন মাসে তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রনালয়ে। এই ভবনে শুধু ক্যান্সার রুগি নয় সেবা পাবে কিডনি ও হৃদ রোগে আক্রান্ত কারীরাও। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যানাযায়, স্বাস্থ ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের উদ্যেগে বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায়,খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার কিডনি ও হৃদ রোগের পৃথক ৩ টি ইউনিট হবে। হাসপাতালের বহির বিভাগের পিছনে ২৩২৫০.৪৬ বর্গ মিটার জমিতে ২টি বেজমেন্ট ফ্লোর ও ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবন নির্মাণ করার জন্য এমবিপিএল ও এসএন বিপিএল (জেভি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের চুক্তি হয়ে ছিল ২০২১সালের ৩১ ডিসেম্বর। ২০২৩ সালের ৩১ শে এপ্রিলের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এবং চুড়ান্ত মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন মাস পযন্ত। কিন্তু মেয়াদ শেষ, হলেও কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ। গণপূর্ত বিভাগ থেকে যানাযায়, নিধারিত সময় কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রনালয়ে। প্রকল্পের ডি পি পি মুল্য ১৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা চুক্তি মুল্যে বেজমেন্ট সহ ১৫ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে থাকার কথা থাকলেও মাত্র ২১ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে গণপূর্ত বিভাগের দাবি। যানাযায়,প্রকল্পের আওতায় ২ টি বেজমেন্ট ও ১৫ তলা ভবন সহ ১৭ তলা পাইল ফাউন্ডেশন হবে। বেজমেন্ট ২ থেকে ৭ তলা পযন্ত হবে ক্যান্সার ইউনিট।এতে থাকবে লিনিয়র এক্সলেটর, সিটি সিমুলেটর,ব্রাকি থেরাপি, কেমোথেরাপি,। ৮ ম তলা থেকে ১১তলা পযন্ত হবে কিডনি ইউনিট। এখানে থাকবে কিডনি ডায়ালাসিসি ইউনিট, ট্রান্স প্লান্ট ওটি,পোষ্ট ট্রান্স প্লান্ট আই সি ইউ। আর ১২ তলা থেকে ১৫ তলা,পযন্ত হবে হৃদ রোগ ইউনিট এখানে থাকবে সিসিইউ,আইসিইউ, কার্ডিয়াক ওটি পেডিয়ার্টিক কার্ডিয়াক সার্জারী ক্যাথ ল্যাব। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এন বিল্ডার্স প্রাইভেট লিঃ এর মালিক শেখ দাউদ হায়দার বলেন,প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও জমিতে স্থপনা সহ নানা জটিলতার করণে কাজ শুরু করতে দেরী হয়েছে।