বিনোদন: বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘আজীবন সম্মাননা’। যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২-এও দুজন অভিনয়শিল্পী পাচ্ছেন এই স্বীকৃতি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’-এ আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা খসরু এবং চিত্রনায়িকা রোজিনা। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ লাভের অনুভূতি জানিয়ে গুণী অভিনেত্রী রোজিনা নিউজজিকে বলেন, খুবই ভালো লাগছে। ভীষণ আনন্দিত আমি। এই অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। এর আগে দুই বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছি। এবার পেলাম সবচেয়ে বেশি সম্মানের আজীবন সম্মাননা। এর চেয়ে বড় আনন্দ মনে হয় না কিছু হতে পারে।
১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রোজিনা। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর অসখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন পেয়েছেন রোজিনা। তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’।
এদিকে, প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন রোজিনা। সিনেমাটির নাম ‘ফিরে দেখা’। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, নিরব ও অর্চিতা স্পশিয়াসহ অনেকে। অভিনয় করেছেন রোজিনা নিজেও। সিনেমাটি চলতি বছরের ১৬ জুন মুক্তি পায়। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে রোজিনা ‘কসাই’ সিনেমার জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর হিসেবে ‘জীবন ধারা’ সিনেমার জন্য। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরষ্কারও লাভ করেন।