তাইজুলের লড়াইয়ের পরও দুইশ’র আগেই অলআউট বাংলাদেশ

সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিংটা মোটেও ভাল হয়নি বাংলাদেশ দলের। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের দিনের মতও শনিবারও কোন স্বীকৃত ব্যাটাররা লড়াই করতে পারেননি। তবে দলের প্রয়োজনে সে কাজটাই করেন তাইজুল ইসলাম। ৩ রানের জন্য তিনি মিস করেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ দিকে লড়াই করেন খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তারপরও বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ২০০ রানের আগেই। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের লিড পেয়েছে। ১ম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৮৮ রানে। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস স্কোর ২৮০ রান। তাই তারা লিডটাও পেয়েছে বড়ই।শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস স্কোর ২৮০ রানের জবাবে ৩২ রান তুলতেই বাংলাদেশ দল ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। আজ আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে নাজমুলের দল। সেটাও ‘নাইটওয়াচম্যান’ তাইজুল ইসলামের সৌজন্যে। এরপর দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও শরীফুল ইসলামের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫১.৩ ওভার ব্যাট করে রান করে ১৮৮। শ্রীলঙ্কার লিড ৯২ রান।

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শনিবার বাংলাদেশের শুরুটাই হয় ভীষণ নড়বড়ে। মাহমুদুল হাসান জয় ৯ রান এবং তাইজুল ০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। দুজন মিলে ২১ রান যোগ করতেই পতন ঘটে দিনের প্রথম উইকেটের। জয় নিজের রানের সঙ্গে আর ৩ রান যোগ করেই আউট হয়েছেন। ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো তাকে। শাহাদাত হোসেন দীপু এসেছিলেন এরপর। তাইজুলের সঙ্গে জুটি জমেছিল কিছুটা। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুজনেই চেয়েছেন রয়েসয়ে খেলতে। দুজনের এই জুটি যখনই আশা দেখাচ্ছিল, তখনই আক্রমণে আসেন লাহিরু কুমারা। আর তাতেই সাফল্য পায় লঙ্কানরা। বাড়তি বাউন্সের বলটা বুঝে ওঠার আগেই দীপুর ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নেন দিনের দ্বিতীয় ক্যাচ। ৮৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ম উইকেট। ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন দীপু।

দীপু ফিরলেও টাইগারদের আশা দেখান তাইজুল-লিটন জুটি। দুজনে মিলে পার করেন বাংলাদেশের দলীয় শতরান। লিটন খেলেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। আর টেলএন্ডার হয়েও উইকেট আগলে রেখেছেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু টাইগারদের এই জুটিও বেশিক্ষণ টেকেনি। লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত ইনসুইং ভেঙে দেয় লিটনের প্রতিরোধ। দলীয় ১২৪ এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন লিটন।

শেষ আশা ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু তিনিও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ৩৪ বলে ১১ রান করে কাসুন রাজিথার বলে আউট তিনি। দলের দরকারের সময়ে অহেতুক বড় শট খেলতে গিয়ে খুইয়েছেন নিজের উইকেট। তার একটু আগেই অবশ্য তাইজুল ফিরে গিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে। ৪৭ রানের ইনিংসটা বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছে। সেইসঙ্গে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপও মিশে ছিল তার ইনিংসে। মান বাঁচানোর কাজ করেন খালেদ এবং শরিফুল। শরিফুল স্বভাব অনুযায়ী বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। দুই ছক্কায় করেছেন ১৫ রান। দলের স্কোর তাতে আরও খানিক বেড়েছে। আর সিলেটের লোকাল বয় খালেদ করেছেন ২২ রান। তাতেই টাইগারদের ইনিংস পৌঁছে যায় ১৮৮ পর্যন্ত। লঙ্কানদের হয়ে চার উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো। ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন কাসুন রাজিথা এবং লাহিরু কুমারা।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার ,সকাল ৭:৫২
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন