সারাদেশে হয়রানিমুক্ত ব্যবসা নিশ্চিত ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মর্যাদার বৃদ্ধির জন্য বাজুস কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের সকলকে একই ছাতার নিচে আসতে হবে। সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। মফঃস্বলের একজন দোকানদার আর ঢাকা শহরের একজন দোকানদার, সবার মর্যাদাই সংগঠনের কাছে এক। এজন্য অবৈধ ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে না। বাজুসের মেম্বারশিপ গ্রহণ করে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবসা করতে হবে। অচিরেই সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে জুয়েলারি খাত দেশের তৈরি পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে।
বুধবার (১৫ মে) সাতক্ষীরা শহরের কোরাইশি ফুড পার্ক মিলনায়তনে বাজুস জেলা শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোঃ রিপনুল হাসান এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা জেলা বাজুসের সভাপতি গৌরচন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, সদস্য মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু প্রমুখ। সাতক্ষীরা জেলা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জম কর্মকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন,, সংগঠনের সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি অমীয় কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক রবিন দে, কলারোয়ার সাধারণ সম্পাদক হরেন্দ্র নাথ রায়, শ্যামনগরের যুগ্ম সম্পাদক হাসান তালুকদার, তালার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেবদাস কর্মকার, দেবহাটার সভাপতি আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জুয়েলারি খাতের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং সাতক্ষীরা জেলা বাজুসের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার দাবি জানান। সভায় প্রধান অতিথি আরও বলেন, নিরাপদ ব্যবসা নিশ্চিত ও পুরাতন স্বর্ণ কেনাবেচার জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নিদের্শনা অনুযায়ী একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই গাইডলাইন মেনে স্বর্ণ কেনাবেচা করতে হবে। তাহলে কোনো ব্যবসায়ীকেই আর পুলিশি হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে না।
এসময় তিনি সাতক্ষীরা জেলা বাজুসের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিদের্শ দিয়েছেন আমাদের অভিভাবক সায়েম সোবহান আনভীর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রুলস অনুযায়ী যাদের কাগজপত্র হালনাগাদ আছে, তারা সংগঠনের মেম্বার হবে, ভোটার হবে। তাদের সকলকে নিয়েই ভোট হবে। এক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব কেন্দ্রীয় সভাপতি মেনে নেবেন না।