ছোটবেলা থেকেই জায়েদ খান চঞ্চল প্রকৃতির। কাউকে দেখলেই ডিগবাজি দেওয়া শুরু করে। এমন মানুষ পাওয়া যাবে না যাকে হাসাতে পারেনি এ জায়েদ খান। তাইতো এবার ডিগবাজিতে হাট মাতাতে গাবতলীতে দেখা যাবে জায়েদ খানকে। এর সুঠাম দেহ এবং বাড়ন্ত শরীর হওয়ায় এক বছরের মধ্যে ওজন হয়েছে ৩০ মণ। ডিগবাজি দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেওয়ায় প্রতিনিয়ত এক নজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ গরুটিকে দেখতে আসছেন। বিশাল দেহের অধিকারী জায়েদ খানের মালিক গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের কাউলতিয়া গ্রামের আক্তার হোসেন। বছর খানেক আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি কিনে লালন-পালন শুরু করেন তিনি।
আক্তার হোসেন বলেন, যেহেতু গরুটা খুব পাগলামি ও লাফালাফি করে। তাই তার ছেলে জায়েদ খানের ডিগবাজির সঙ্গে মিল পেয়ে নাম রাখা হয়েছে। এবার কোরবানির ঈদে গাবতলীর হাটে ওঠানো হবে তাদের প্রিয় জায়েদ খানকে। স্থানীয় দর্শনার্থীরা বলছেন, সবাই এতদিন অভিনেতা জায়েদ খানের ডিগবাজি দেখেছেন। তিনি সবসময় ভিন্ন কিছু করে আলোচনায় থাকেন। কিন্তু এবার সাধারণ মানুষ অন্য এক জায়েদ খানকে দেখতে পাবেন গাবতলীর হাটে।
প্রতিবছরই কোরবানির সময় বড় গরুগুলো মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দামও পাওয়া যায় বেশি। পারিবারিকভাবে লালন-পালন করায় ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে এসব বড় গরুগুলোতে। তাইতো কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশে আলোচনার মূল বিষয় জায়েদ খানের মতো বড় আকারের ষাঁড়।