বলিউড ভাইজান সালমান খান। সিনেপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন একেরপর এক সুপার হিট সিনেমা। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই থাকে ভক্তের উচ্ছ্বাস, উত্তাল ভিড়। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই তাকে নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন তার পরিবার ও ভক্তরা। হবেই না কেন, তাকে হত্যার চেষ্টায় করা হয়েছে কত রকম কারসাজি। কিছুদিন আগেও মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় তার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গুলি চালায় দুষ্কৃতকারীরা। এরপর থেকেই যেন নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। এবার প্রকাশ্যে এলো বলিপাড়ার এই সুপারস্টারকে হত্যা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাড়ি নয়, খোদ সালমানের গাড়িতেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ ইতোমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সন্ত্রাসী গ্যাং বিষ্ণু গ্রুপের সদস্য। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র থেকে জানা যায়, এবার বিষ্ণু গ্রুপের পরিকল্পনা ছিল সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলা। সে কারণেই পাকিস্তানি নাগরিক এক অস্ত্র সরবরাহকারীর সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত এ গ্রুপের সদস্যরা। তারপর একে৪৭-এর জন্য বায়না করে তারা।
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই সালমানের ওপর নজর রাখছিল এ গ্যাংয়ের সব সদস্য। নায়কের ওপর হামলা চালাতে না কি শিশুদের ব্যবহার এবং হামলার পর নৌকায় করে শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ফিল্মের শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। তারপর এই নায়কের নামে মামলা করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিলেন ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর আদালত। হরিণ হত্যার মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পায় এ অভিনেতা। তার মুক্তিতে ভক্ত ও অনুসারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও খুশি হতে পারেনি বিষ্ণু গ্যাংয়ের সদস্যরা।
বিষ্ণু সম্প্রদায় বিশ্বাস করে গাছ কাটা ও প্রাণীহত্যা মহাপাপ। কৃষ্ণসার হরিণকে বলতে গেলে তারা পূজা করে। তাই এই সম্প্রদায় বিরল প্রজাতির এই হরিণ হত্যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের নানা পরিকল্পনা। কীভাবে সালমানকে বধ করা যায়। হিট তালিকায় সবার ওপরের দিকে নাম রয়েছে বলিউড ভাইজানের। তবে এ নিয়ে মোটেও শঙ্কিত ছিলেন না ভারতীয় এ সুপারস্টার।