ফিলিস্তিনের গাজায় এবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহত হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে গেল ২৫ দিনে গাজায় ইসরায়েলী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় এরইমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে বলিভিয়া। ইসরায়েলী রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে আরও দুই দেশ।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলী হামলার আরেকটি ভয়াবহ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলো বিশ্ব। এবার উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলী বাহিনী। ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, হামাসের কমান্ডাররা লুকিয়ে রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে তারা। হামাসের শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারিসহ বেশ কয়েকজন হামাস নেতা নিহত হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে ইসরায়েলের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে হামাস। তারা বলছে, ওই ক্যাম্পে তাদের কোনো কমান্ডার ছিলেন না। হামলায় ৪শ’রও বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে গাজার আরও দুটি বড় হাসপাতালে হামলা চালানো হবে এমন সতর্কবার্তা দিয়ে হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীদের এখনও অন্যত্র সরাতে পারেনি তারা। গাজায় নির্বিচার হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া এরইমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া কলম্বিয়া ও চিলি তাদের দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলী রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। মার্কিন সিনেটেও যুদ্ধ বন্ধের দাবি ওঠে। কংগ্রেস শুনানিতে ইসরায়েলকে সহায়তা দেয়ার বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলার সময় এই প্রতিবাদ জানায় বিক্ষুদ্ধরা।